• সাভার

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

নগর জুড়ে

সাভার-ধামরাইয়ে চাঁদা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ০৯:৪২, ৭ মে ২০২৪

সাভার-ধামরাইয়ে চাঁদা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা

সাভার-ধামরাইয়ে চাঁদা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা

পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে তৈরি লেগুনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। রুট পারমিটবিহীন আনফিট আর ঝুঁকিপূর্ণ লেগুনা এখন এই মহাসড়কের আতংক। তাও আবার এগুলোর বেশিরভাগ চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। 

এছাড়া এসব যান চালাতে দিতে হয় মোটা অংকের চাঁদা। চাঁদা না দিলে ঘোরে না এই অবৈধ লেগুনার চাকা। জিপির নামে দৈনিক চাঁদা আর পুলিশের নামে মাসিক চাঁদাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা উঠানো হয় এই মহাসড়কে চলাচলরত লেগুনা থেকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের নবীনগর থেকে ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া পর্যন্ত চলাচল করে অন্তত ৭০টি লেগুনা।  এসব লেগুনা থেকে জিপির নামে দৈনিক ১৫০ টাকা ও পুলিশের নামে মাসিক ২০০০ টাকা উঠানো হয়। সেই হিসেবে জিপির নামে মাসে ৩ লক্ষ ১৫ হাজার আর পুলিশের নামে মাসে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেগুনা চালক জানান, দুই হাজার টাকা মাসিক নেয়। জিপি নেয় কারো ১৫০, কারো ১৪০ টাকা। ট্রাফিক, হাইওয়ে ও থানা পুলিশের নামে এ সকল মাসিক টাকা উঠানো হয় বলে জানান এই চালক।এসব চাঁদা তোলার জন্য মাসিক বেতনে রাখা হয়েছে লাইনম্যান। যাদের কাজ দৈনিক ও মাসিক হারে চাঁদা তোলাসহ দাবিকৃত চাঁদা না দিলে সংগঠনের নেতাদের জানানো। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের লাইনম্যান হিসেবে চাঁদা তোলার দায়িত্ব রয়েছে সোলায়মান নামের একজন। যাকে নিযুক্ত করেছেন ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি। ফারুক হোসেনই হচ্ছেন এই চাঁদাবাজির মূলহোতা।

সোলায়মান ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে টাকা তোলেন। এ বিষয়ে জানতে সোলায়মানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। চাঁদাবাজির নেপথ্যে থাকা ফারুক হোসেন বলেন, এখানে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। আপনি আমার সাথে সাক্ষাতে কথা বলেন, আসেন। তিনি আরও বলেন, “অরিজিনালী আপনাকে আমি বলি, এখানে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। আমাদের একটি মালিক সমিতি আছে। বিভিন্ন বিষয় আছে, লাইনম্যানরা আছে। লাইনম্যান না থাকলে তো রুট চলে না।” এ সময় বারবার তিনি এ প্রতিবেদককে তার সাথে দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন।

অন্যদিকে ফারুক হোসেনের কাছে বারবার সংগঠনের নাম জানতে চাইলে তিনি বার বার এরিয়ে যান। তবে তিনি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কাগজ-পত্রে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি অপকটে স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে সাভার ট্রাফিক বিভাগের এডমিন হোসেন শহিদ চৌধুরী বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আপনি লোকাল টিআইকে ম্যাসেজটা দেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বলেন, মহাসড়কে লেগুনা থেকে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানা নেই। এ ধরনের কিছু থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন: