• সাভার

  •  শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

নগর জুড়ে

সাজা শুনে পালাচ্ছিলেন দুই আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৩ মে ২০২৪

সাজা শুনে পালাচ্ছিলেন দুই আসামি

সাজা শুনে পালাচ্ছিলেন দুই আসামি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন ওরফে বাক্কা জামাল হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে গতকাল রবিবার। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পঞ্চাশ হাজার করে জরিমানা করা হয়। রায়ের এই খবর শুনে কুমিল্লা থেকে পালাতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলেন দুই আসামি। তারা হলেন মফিজুর রহমান খন্দকার ও রেজাউল করিম বাবলু।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কম্পানির অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে সোমবার ভোরে কুমিল্লা থেকে পালানোর সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই আসামিকে জেলা শহরের শাসনগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দ্ণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের শিলরী গ্রামের তাজুল সলামের ছেলে মো. খন্দকার মফিজুর রহমান (৫২) ও আলকরা গ্রামের নজির আহম্মদের ছেলে মো. রেজাউল করিম বাবলু (৪২)।
র‌্যাবের কর্মকর্তা লে.কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, গত ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু নির্বাচিত হয়ে সাধারণ জনগণের ওপর অত্যাচার, অপকর্ম, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করলে জামাল উদ্দিন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। যার ফলে জামালের সঙ্গে প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আসামিরা ২ থেকে ৩ বার তাকে হত্যাচেষ্টা করেন।

পরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলে চৌদ্দগ্রামের পদুয়ার রাস্তার মাথায় প্রথমে গুলি করে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। 
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৬ সালে ১৮ এপ্রিল প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গতকাল রবিবার আদালতের দেওয়া রায়ে এ মামলার প্রধান আসামিসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা ও সেই সঙ্গে প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস দেওয়া হয় পাঁচজনকে। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলী হোসেন।

তাকে গত ২৯ মার্চ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।  মাহমুদুল হাসান আরো জানান, আদালতের রায় শুনে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি কুমিল্লা থেকে পালিয়ে যেতে পরিকল্পনা করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাবের সদস্যরা সোমবার ভোরে কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মফিজুর রহমান খন্দকার ও রেজাউল করিম বাবলুকে গ্রেপ্তার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন: