জাবি উপাচার্যকে গালাগাল করা শিক্ষকের অডিও ফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাবি উপাচার্যকে গালাগাল করা শিক্ষকের অডিও ফাঁস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির একটি অডিও ফাঁস হয়েছে, যেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নূরুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর অনুগ্রহেই অধ্যাপক মো. নূরুল আলম উপাচার্যের চেয়ারে বসেছেন বলে অডিওতে মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুরিয়ারের মাধ্যমে এ সম্পর্কিত অডিও ক্লিপ সংবলিত ডিভিডি, দায়মুক্তিপত্র প্রত্যাহারের আবেদন ও চিঠি সংবলিত একটি খাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে পাঠানো হয়। খামের ওপর প্রেরকের পরিচয় না থাকলেও চিঠির নিচে লেখা ছিল, ‘ধন্যবাদান্তে : প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্য’।
তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এই অডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অডিও ক্লিপের ৩২ সেকেন্ডের পর মাহমুদুর রহমান জনি উপাচার্যকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে বলতে থাকেন, ‘আমাকে নাকি বহিষ্কার করে দিচ্ছে ইউনিভার্সিটি থেকে। তাই আমাকে বলা হয়েছে আইনের আশ্রয় নিতে। তবে ওই... (উপাচার্য) যে আমার জন্য চেয়ারে বসেছে, সেটা সে ভুলে গেছে।
জানা যায়, মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। কুরিয়ারে ‘যৌন নিপীড়ক জনিকে বাঁচাতে তত্পর উপাচার্য, নেপথ্যে...’ শিরোনামে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রীতি অনুসারে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিললে অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠিত হয়। তবে জনির ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি। সিন্ডিকেটের সভাপতি (উপাচার্য মো. নূরুল আলম) সুকৌশলে জনিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল ও মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দায়মুক্তিপত্র লেখানোর অভিযোগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি উপাচার্য বরাবর পাঁচ পৃষ্ঠার একটি আবেদনপত্র দিয়েছেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের এক ভুক্তভোগী ছাত্রী। সেই আবেদনপত্রের একটি পিডিএফ ফাইলও কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
জোরপূর্বক দায়মুক্তিপত্র লেখানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ অডিওর বিষয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। অডিও ক্লিপ সম্পর্কে আমি জানিও না। আর উপাচার্যকে চেয়ারে বসানোর আমি কে?’ সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
মন্তব্য করুন: