• সাভার

  •  শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

নগর জুড়ে

স্ত্রীকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সাজুর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ২৩:৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্ত্রীকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সাজুর যাবজ্জীবন

স্ত্রীকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সাজুর যাবজ্জীবন

১১ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী চন্দনা হত্যা মামলায় তার স্বামী সাজু মিয়া ওরফে সাধনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় পরিমার্জন করে আজ সোমবার এ রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নারগিস আক্তার।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো বলেন, ‘রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিমার্জন করে এ রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ডেথ রেফারেন্স ও আসামির জেল আপিল খারিজ করা হয়েছে রায়ে।’ আইনজীবী নারগিস আক্তার বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সাজু মিয়ার আকস্মিক আঘাতে স্ত্রী চন্দনার মৃত্যু হয়। তা ছাড়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করেছেন বলে জানান।

কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় সেই কাঁচির কোনো অস্তিত্ব নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করি। পূর্ণাঙ্গ রায়ে এর ব্যাখ্যা থাকবে বলে আশা করি।’
২০১০ সালের ২২ এপ্রিল চন্দনার সঙ্গে আসামি সাজু মিয়ার বিয়ে হয়।

তাদের দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরের ২ আগস্ট সাজুকে তালাক দেন চন্দনা। কিন্তু পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর চন্দনা ও সাজুর পুনরায় বিয়ে দেওয়া হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী চন্দনার সঙ্গে সাজু মিয়ার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। চন্দনা কলেজ হোস্টেলে থাকতেন। ২০১২ সালের ১ মে আদাবরের শেখেরটেক এলাকায় সাবলেট নেন এই দম্পতি।

১৪ মে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। কলহের এক পর্যায়ে সাজু ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চন্দনাকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে বিধান অনুসারে সেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর আসামিও জেল থেকে আপিল করেন। এই ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানির পর রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

মন্তব্য করুন: